ক্রিপ্টোকারেন্সি (Cryptocurrency) বর্তমান সময়ে অর্থনীতির একটি বড় আলোচনার বিষয়বস্তু। বিশেষ করে বিটকয়েন (Bitcoin), যেটি বিশ্বের প্রথম এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি।
বিটকয়েন এমন একটি শব্দ যা কম বেশি আমরা সবাই শুনেছি। তবে এটির প্রকৃত অর্থ এবং এর ব্যবহারের ব্যাপারে অনেকেই অবগত নই। বর্তমান ডিজিটাল যুগে, ইন্টারনেটে যে মুদ্রা ব্যবহার করা হয় তার নাম হলো বিটকয়েন। এটি ভার্চুয়াল মুদ্রা বা ডিজিটাল মুদ্রা হিসেবেই পরিচিত।
আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে ১টি বিটকয়েনের বিপরীতে গুনতে হয় ৬৯,২০,২৬৭ টাকা। অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়া মাত্র শুরু বিটকয়েন কি, বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে সেসব জানলে আরো অবাক হবেন। তো চলুন, অবাক হওয়ার জার্নি শুরু করা যাক।
পোস্টের বিষয়বস্তু
বিটকয়েন কি
Bitcoin একটি ডেসেন্ট্রালাইজড মুদ্রা, যার মানে হলো বিটকয়েন কোনো ব্যাংক বা সরকারি সংস্থার নিয়ন্ত্রণে নেই। এটি ইন্টারনেট ভিত্তিক মুদ্রা, যা শুধুমাত্র অনলাইনে ব্যবহৃত হয়। আমাদের নিত্যদিনে ব্যবহৃত কাগজের মুদ্রার মত বিটকয়েনের কোনো শারীরিক রূপ নেই, তাই আমরা এট স্পর্শ করতে পারি না। তবে, এটি একটি মূল্যবান সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এর ব্যবহার করে বিভিন্ন পণ্য ও সেবার জন্য অর্থ প্রদান করা যায়।
বিটকয়েনের উৎপত্তি
মাত্র ১৬ বছর আগে, ২০০৮ সালের ৩১শে অক্টোবর, সাতোশি নাকামোটো নামে একজন ব্যক্তি ইন্টারনেটে একটি ডকুমেন্ট (Paper) প্রকাশ করেন। উক্ত ডকুমেন্টসে আমাদের বর্তমান ব্যাংকিং ব্যবস্থা কীভাবে বিটকয়েন কারেন্সি দ্বারা প্রতিস্থাপিত হতে পারে তা উল্লেখ করা হয়েছিল।
তার মূল উদ্দেশ্য ছিলো এমন একটি ইলেকট্রনিক ফাইন্যান্সিয়াল সিস্টেম তৈরি করা, যেটি কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যস্থতা ছাড়াই একটি পক্ষ থেকে অন্য পক্ষতে সরাসরি অর্থ প্রেরণের সুযোগ করে দিবে। এই ধারণার ভিত্তিতেই ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল সম্পদের উদ্ভব ঘটে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়।
সম্পুর্ণ সফটওয়্যার প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে বিটকয়েন এমন একটি আর্থিক ব্যবস্থা হিসাবে উদ্ভাবিত হয়েছে যা তৃতীয় পক্ষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ২০০৮ সালের গ্লোবাল ইকোনমিক মেল্টডাউনের পরে, যখন লেম্যান ব্রাদার্সের মতো বড় বড় বিনিয়োগ ব্যাংক গুলো দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিলো, তখনই ক্রিপ্টোকারেন্সির জন্ম হয়।
বিটকয়েন ছিলো পৃথিবীতে শুরু হওয়া প্রথম ডিজিটাল মুদ্রা এবং তারপর থেকে এথেরিয়াম, লাইটকয়েন, এবং রিপলের মতো অনেক ক্রিপ্টোকারেন্সির সৃষ্টি হতে থাকে।
বিটকয়েনের মূল বৈশিষ্ট্য
বিটকয়েনের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তার মধ্যে মূল বৈশিষ্ট্যগুলো বর্ণনা করা হলো:
১. এটি সম্পূর্ণ ডেসেন্ট্রালাইজেশন
বিটকয়েন কোনো কেন্দ্রিয় কর্তৃপক্ষ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না। এর লেনদেন পিয়ার-টু-পিয়ার (P2P) নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পরিচালিত হয়, যা অর্থ লেনদেন কেবল দুই ব্যক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ।
২. গোপনীয়তা নিশ্চিত করে
বিটকয়েন লেনদেন নিরাপদ এবং গোপনীয় থাকে, কারণ এতে ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ করা হয় না। প্রতিটি লেনদেন একটি বিশেষ ক্রিপ্টোগ্রাফিক কী-এর মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
৩. লেনদেনে স্বাধীনতা রয়েছে
বিটকয়েন লেনদেনের জন্য কোনো তৃতীয় পক্ষের প্রয়োজন হয় না। এতে কোনো ব্যাংক বা অন্য কোনো সংস্থা মধ্যস্থতা করতে পারে না।
৪. আত্মপ্রকাশের নিরাপত্তা
বিটকয়েন ইউজাররা তাদের প্রকৃত পরিচয় প্রকাশ না করেও লেনদেন করতে পারেন, যা অন্যান্য মুদ্রার ক্ষেত্রে সম্ভব নয়।
৫. আন্তর্জাতিক লেনদেন ব্যবস্থা
বিটকয়েন ব্যবহার করে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে টাকা পাঠানো বা গ্রহণ করা যায়। এর জন্য কোনো ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতা নেই।
বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে
বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে এটি বুঝতে হলে একদম শুরু থেকে শুরু করতে হবে।
আমরা জানি অর্থের মূল কাজ হলো মূল্য বিনিময়। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি একটি গাড়ি কিনতে চান, তবে আপনাকে গাড়ির মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করতে হবে। এই মূল্য বিনিময়ের ভিত্তিতে, অর্থকে একটি মূল্যবোধ হিসেবে গণ্য করা হয়। যখন আপনি কোনও মূল্যবান সামগ্রী বা সেবা কিনছেন, আপনি সেই মূল্যের পরিবর্তে অর্থ প্রদান করছেন। এভাবেই অর্থের প্রয়োগটা ঘটে। তবে এখানেই একটা Catch আছে।
প্রায় আট হাজার বছর আগে,
মুদ্রা বা অর্থের কোনো অস্তিত্ব ছিল না। তখনকার সময়ে মানুষ বিনিময় পদ্ধতি (Barter System) ব্যবহার করতো, যেখানে এক প্রকারের জিনিসের বিনিময়ে অন্য প্রকারের জিনিস পাওয়া যেতো। উদাহরণস্বরূপ, একজন ব্যক্তির যদি অতিরিক্ত কয়েকটি কলা থাকে, তবে সে সেটি অন্য একজনের অতিরিক্ত আপেলের সাথে বিনিময় করতে পারতো। তবে, এই পদ্ধতিটির বড় একটি সমস্যা ছিল যে, সব সময়ে উভয় পক্ষের প্রয়োজন মিলে যেত না।
এটা সমাধান সরূপ মানুষ প্রাথমিকভাবে মূল্যবান ধাতুর (যেমন – স্বর্ণ এবং রূপার) উপর বিশ্বাস স্থাপন করলো। এসব ধাতু ব্যবহার করে, তারা নিজেদের মধ্যে বিনিময় করতে শুরু করলো। তবে, এ ধাতু বহন করা কষ্টকর ছিল। এরপর, সরকার মানুষের কাছ থেকে স্বর্ণ জমা রেখে, তার পরিবর্তে তাদেরকে কাগজের মুদ্রা (Paper Currency) দিতে শুরু করলো।
এই পদ্ধতিতে, সরকার একটি প্রতিশ্রুতি দেয় যে, তাদের মুদ্রার মূল্য সব সময় নির্দিষ্ট একটি মান বজায় রাখবে। এ কারণে মুদ্রার ওপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (যেমন – বাংলাদেশ ব্যাংক) নিয়ন্ত্রণ থাকে। তারা দেশে কত মুদ্রা তৈরি করা হবে এবং তার মান কেমন হবে, সেটি নির্ধারণ করে।
সাধারণ মুদ্রার এই কেন্দ্রিক নিয়ন্ত্রণের সমস্যা থেকে মানুষকে মুক্ত করার জন্য ২০০৮ সালে সাতোশি নাকামোতো (Satoshi Nakamoto) নামক একজন অজানা ব্যক্তি বা গোষ্ঠী একটি নতুন ধারণা প্রকাশ করলেন, যা ছিল ক্রিপ্টোকারেন্সি। তার এই ধারণাটি ছিল সম্পূর্ণ ডিজিটাল অর্থব্যবস্থার (Peer-to-Peer Electronic Cash System) ভিত্তিতে। এটি একটি Decentralized অর্থব্যবস্থা এবং এটি নিয়ন্ত্রন করতে পারবে এমন কোনো কেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠান বা সরকার নেই। আর বিটকয়েন হলো ডিজিটাল মুদ্রা হিসেবে প্রথম ক্রিপ্টোকারেন্সি।
ব্লকচেইন দ্বারা লেনদেন ব্যবস্থা
ক্রিপ্টোকারেন্সি কাজ করে ব্লকচেইন (Blockchain) প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে। ব্লকচেইন হলো একটি বিকেন্দ্রীভূত এবং নিরাপদ ডাটাবেজ, যা সমস্ত লেনদেনের রেকর্ড রাখে। এই ব্লকচেইন সিস্টেমের মূল বৈশিষ্ট্য হলো এটি সম্পূর্ণ স্বচ্ছ, এবং এখানে কোনো তৃতীয় পক্ষের প্রয়োজন নেই। প্রত্যেকটি লেনদেনকে একটি ব্লকে সংরক্ষণ করা এবং শৃঙ্খলে যুক্ত করা হয়। এর ফলে, কোন লেনদেন ইচ্ছাকৃতভাবে পরিবর্তন করা বা মুছে ফেলা সম্ভব নয়।
বিটকয়েন লেনদেনের একটি উদাহরণ দিয়ে এ বিষয়ে আলোচনা করা যাক। আপনি যদি একটি জুতো কিনতে চান, তবে আপনি একজন বিক্রেতার কাছে আপনার বিটকয়েন পাঠাবেন। এই লেনদেনটি সম্পন্ন হওয়ার পর তা ব্লকচেইনে রেকর্ড করা হবে। ব্লকচেইনে যুক্ত হওয়ার পর বিষয়টি সমস্ত নেটওয়ার্কে সম্প্রচারিত হবে এবং সকল অংশগ্রহণকারী এটি যাচাই করবে।
লেনদেন সম্পন্ন হওয়ার আগে, অংশগ্রহণকারীদের এটি নিশ্চিত করতে হবে যে আপনার কাছে পর্যাপ্ত বিটকয়েন রয়েছে। এছাড়াও, তাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে যে, এই লেনদেনটি বৈধ এবং কোন মিথ্যা তথ্য নেই। একবার এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে, লেনদেনটি স্থায়ীভাবে ব্লকচেইনে রেকর্ড হবে এবং এটি আর পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
বিটকয়েনের ক্ষেত্রে, সমস্ত বিটকয়েন লেনদেনের একটি পাবলিক হিসাব থাকে, এটি ‘লেজার’ নামে পরিচিত। বিটকয়েন নেটওয়ার্কের অংশ হিসাবে প্রতিটি সিস্টেমে এই লেজারের একটি কপি থাকে। এই সিস্টেমটি পরিচালনা করে ‘মাইনার’ নামে পরিচিত ব্যক্তিরা, যাদের কাজ হলো লেনদেনগুলো যাচাই করা।
বিটকয়েন এবং অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য, শক্তিশালী ক্রিপ্টোগ্রাফি (Cryptography) ব্যবহার করা হয়। এই প্রযুক্তি নিশ্চিত করে যে লেনদেন গুলো সুরক্ষিত এবং অপরিবর্তনীয় থাকে।
বিটকয়েনের মূল্য, কেনা-বেচা, ব্যবহার ও সতকর্তা
বিটকয়েনের মূল্য প্রচলিত মুদ্রার মতো নির্দিষ্ট নয়। এর চাহিদার উপর নির্ভর করে মূল্য ক্রমাগত পরিবর্তিত হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিটকয়েনের মূল্য আলাদা হতে পারে, কারণ এটি একটি বৈশ্বিক মুদ্রা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বিটকয়েন কেনার জন্য দুটি প্রধান পদ্ধতি রয়েছে। প্রথমত, আপনি সরাসরি বিটকয়েন কিনতে পারেন অর্থের বিনিময়ে। আপনি যদি পুরো একটি বিটকয়েন কিনতে না পারেন, তবে আপনি এর একটি ছোট অংশও কিনতে পারেন। একটি বিটকয়েনের ১০ কোটি ছোট একক আছে, যা ‘সাতোশি’ নামে পরিচিত।
দ্বিতীয় পদ্ধতি হলো বিটকয়েন মাইনিং। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটার এবং মাইনিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে বিটকয়েন তৈরি করা হয়। এই প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত জটিল এবং এতে অনেক গাণিতিক সমীকরণ সমাধান করতে হয়। মাইনিং এর মাধ্যমে নতুন বিটকয়েন তৈরি হয় এবং তা লেনদেনের জন্য ব্যবহার করা হয়।
বিটকয়েনের ব্যবহার
বিটকয়েনের প্রধানত ব্যবহার করা হয় অনলাইন পেমেন্ট করার জন্য। এটি ব্যবহার করে বিভিন্ন পণ্য ও সেবা ক্রয় করতে পারেন, বা অন্য কোনো ব্যক্তিকে অর্থ পাঠাতে পারেন। তাছাড়া বিটকয়েনকে অন্য মুদ্রায় রূপান্তরিত করাও সম্ভব। ক্রেডিট কার্ড বা অন্যান্য পেমেন্ট পদ্ধতির মতো বিটকয়েনের মাধ্যমে লেনদেন করার ক্ষেত্রে কোনো অতিরিক্ত ফি প্রয়োজন হয় না, যা একটি বড় সুবিধা বিটকয়েন ব্যবহারের।
ব্লকচেইন প্রযুক্তি এখনো উন্নয়নের পর্যায়ে রয়েছে। আগামী ১০ থেকে ২০ বছরে, এটি বিভিন্ন খাতে একটি বিপ্লব ঘটাতে পারে। অনেক বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন যে, ক্রিপ্টোকারেন্সি ভবিষ্যতের মুদ্রা হবে, যেখানে সব কিছু ডিজিটালি নিয়ন্ত্রিত হবে।
তবে, এর পাশাপাশি কিছু অপব্যবহারও রয়েছে। বিশেষ করে, এর বিকেন্দ্রীভূত প্রকৃতির কারণে সরকার এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা এটির উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনা। যার ফলে অর্থ পাচার এবং অন্যান্য অবৈধ কার্যকলাপের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
বিটকয়েনের সীমাবদ্ধতা এবং সতর্কতা
সম্পূর্ণ ভাবে পার্ফেক্ট বলতে কিছু নেই। বিটকয়েন ব্যবহারের ক্ষেত্রেও বিষয়টি একই। প্রথমত, বিটকয়েনের লেনদেন রিকোভার করা সম্ভব নয়। যদি আপনি একটি ভুল ঠিকানায় বিটকয়েন পাঠিয়ে দেন, তবে তা ফেরত পাওয়া সম্ভব নয়। এছাড়া, বিটকয়েনের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে এটি হ্যাকারদের জন্য একটি আকর্ষণীয় লক্ষ্য হয়ে উঠেছে। একটু অসাবধানতার ফলে চুরি হয়ে যেতে পারে আপনার বিটকয়েন।
আরো পড়ুন
দ্বিতীয়ত, বিভিন্ন দেশের সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিটকয়েনের ব্যবহারের ব্যাপারে সতর্কতা জারি করেছে। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশ, ভারতসহ অনেক দেশেই এটির লেনদেন অবৈধ ঘোষণা করেছে।
বিটকয়েন সম্পর্কে আমাদের মতামত
বিটকয়েন একটি অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক এবং সম্ভাবনাময় প্রযুক্তি। নিশ্চিত ভাবেই বলা যায় ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক লেনদেনের পদ্ধতিতে পরিবর্তন নিয়ে আসবে বিটকয়েনের মত ডিজিটাল মুদ্রাগুলো। যদিও এটি ব্যবহারে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তবে এর সুবিধা গুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি বিটকয়েনের মাধ্যমে বিনিয়োগ বা লেনদেন করতে চান, তবে অবশ্যই সঠিকভাবে যাচাই বাছাই করে এবং সতর্কতার সাথে পদক্ষেপ নিতে হবে।
আশা করছি পুরো আর্টিকেলটির মাধ্যমে বিটকয়েন কি এবং বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি। এমনই জটিল বিষয় গুলোকে সহজে বুজতে অনুসরণ করুন আমাদের ওয়েবসাইটটি, ধন্যবাদ।