তথ্য প্রযুক্তির সংমিশ্রণের এই যুগে সর্ববহুল ব্যবহৃত হয় এমন ১০ টি প্রযুক্তির নাম সম্পর্কে ধারণা রাখা জরুরি। ইলেকট্রনিক্স শক্তির মাধ্যমে চলমান বিভিন্ন ডিভাইস কে প্রযুক্তি বলা হয়ে থাকে। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে, প্রযুক্তির ব্যবহার ইলেকট্রনিক ডিভাইস ছাড়াও আরো বিভিন্ন উৎস থেকে ব্যবহৃত হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে জীবনকে আরো সহজ এবং আনন্দময় করে তোলার জন্য বিভিন্ন নতুন নতুন সফটওয়্যার এবং সিস্টেম এর সাথে আমরা পরিচিত হচ্ছি। আধুনিক প্রযুক্তি সময় বাঁচানোর পাশাপাশি যোগাযোগ এবং শিক্ষা ও গবেষণার কাজকে সহজতর করে তোলে।
আধুনিক প্রযুক্তি মানুষের নির্ভরশীলতা বাড়াতে, গোপনীয়তা রক্ষা করতে এবং বেকারত্বের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করছে। আধুনিক প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার না করলে এর বিভিন্ন ক্ষতিকর দিক ও রয়েছে। যাই হোক, আজকে আমরা ১০ টি প্রযুক্তির নাম এবং এর ব্যবহার সম্পর্কে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করব।
পোস্টের বিষয়বস্তু
১০ টি প্রযুক্তির নাম ও ব্যবহার
উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। তথ্য প্রযুক্তির সংমিশ্রণের এই যুগে প্রযুক্তির নাম সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা না থাকলে আপনি অন্যদের থেকে পিছিয়ে থাকবেন। প্রতিনিয়তই আমরা আধুনিক প্রযুক্তির সাথে পরিচিত হচ্ছি, যা আমাদের দৈনন্দিন কাজের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে জনপ্রিয় হয়েছে এমন কয়েকটি প্রযুক্তির নাম হল:
- চিকিৎসা ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি,
- উৎপাদন ও শক্তি প্রযুক্তি,
- যোগাযোগ ও পরিবহন প্রযুক্তি,
- তথ্যপ্রযুক্তি,
- আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি,
তবে আমরা বিস্তারিতভাবে যেসব প্রযুক্তির বিষয়ে আলোচনা করব তা আমরা বর্তমানে দৈনন্দিন প্রত্যেকটি কাজেই ব্যবহার করছি। বহুল আলোচিত এই ১০ টি প্রযুক্তির নাম গুলো হলো:
- আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি,
- ইন্টারনেট অফ থিংস,
- রোবটিক্স,
- ব্লকচেন,
- ন্যানো টেকনোলজি,
- জৈব প্রযুক্তি,
- মেশিন লার্নিং,
- ড্রোন,
- ভার্চুয়াল রিয়েলিটি,
- ক্লাউড কম্পিউটিং।
এখন আমরা নিজের অংশে ধাপে ধাপে এই প্রযুক্তি গুলো কি এবং এগুলো কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
১) আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি
মানুষের বুদ্ধিমত্তার সাথে তাল মিলিয়ে অনুরূপ একই ধরনের কাজ করার জন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি ডিজাইন করা হয়েছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। মেশিন লার্নিং, ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং, রোবটিক্স, গেমিং এবং হেলথ কেয়ার এর পরিকল্পনায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ধারণা করা হয়, অদূর ভবিষ্যতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি এর সুদূর প্রয়াসী সম্ভাবনা রয়েছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্সি যেসব কাজের জন্য সর্বাধিক ব্যবহৃত তা হল:
হেলথকেয়ার
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি বা এআই ব্যবহার করে রোগীর রোগ নির্ণয় করা ছাড়াও ঔষধ আবিষ্কার করার কাজেও ব্যবহার করা হচ্ছে। অনেকে এআই ব্যবহার করে ব্যক্তিগতভাবে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করছেন।
অটোমোবাইল
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি এর সাহায্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাড়ি চালানো সহ ড্রাইভিং সহায়তায়ও এআই ব্যবহার করা হচ্ছে।
ভাষা অনুবাদ
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি গুগল ট্রান্সলেট এর ভাষা অনুবাদ করার কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন ভাষাকে অনুবাদ করতে এবং অন্য ভাষায় উপস্থাপন করতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি খুবই কার্যকর।
সোশ্যাল মিডিয়া
কনটেন্ট তৈরি, সাজানো এবং কনটেন্ট এর বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের কাজে আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্সি ব্যবহার করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্লাটফর্মে যেসব কনটেন্ট আপলোড করা হয় তার বিভিন্ন কাজে এখন এআই ব্যবহৃত হচ্ছে।
অনলাইন শপিং
আমাজন, ইবে এর মত আরও অসংখ্য অনলাইন শপিং প্লাটফর্মে আপনি এআই ব্যবহার করে প্রোডাক্ট ক্রয় করতে পারবেন। আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী এআই ব্যবহার করে পন্য কালেক্ট করতে পারবেন।
সার্চ ইঞ্জিন
google এর মতো বড় সার্চ ইঞ্জিন গুলো এআই ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের উত্তর প্রদান করে থাকে। প্রশ্নের যথাযথ এবং প্রাসঙ্গিক উত্তর প্রদান করতে এআই অধিক মাত্রায় কার্যকর।
২)ইন্টারনেট অফ থিংস
ইন্টারনেট অফ থিংস কে ইংরেজিতে IOT বলা হয়ে থাকে। এটি এমন একটি প্রযুক্তি যা বিভিন্ন সাধারণ জিনিসপত্রকে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত করতে পারে। ইন্টারনেট অফ থিংস শিল্প, স্বাস্থ্য, পরিবহন, স্মার্ট হোম খাতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। স্মার্ট হোম এ ব্যবহৃত স্মার্ট লাইট, স্মার্ট থার্মোস্ট্যাট, স্মার্ট ওয়াচ এবং স্মার্ট কার পরিচালনা করতে পারে ইন্টারনেট অফ থিংস।
এছাড়া পরিধানযোগ্য ডিভাইস শিল্প নিয়ন্ত্রণ পরিবেশ পর্যবেক্ষণ এর জন্য ও ইন্টারনেট অফ থিংস ব্যবহৃত হয়। ইন্টারনেট অফ থিংস এ ব্যবহৃত সেন্সর তথ্য সংগ্রহ করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সার্ভারে পাঠায়। সার্ভারে এই ডাটা গুলো বিশ্লেষণ করে আমরা আমাদের মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার থেকে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।
৩) রোবটিক্স
বিজ্ঞানের যেই শাখায় রোবট নিয়ে কাজ করা হয় তাকে রোবটিক্স বলে। মানুষের দেওয়া নির্দেশ অনুসরণ করে রোবট সাহায্য করতে পারে উৎপাদন কাজে, স্বাস্থ্য সেবায়, উদ্ধার কাজে, ঘরোয়া বিভিন্ন কাজে। এক্ষেত্রে ইন্ডাস্ট্রিয়াল রোবট কলকারখানায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে সার্জিক্যাল রোবট ব্যবহৃত হয়।
গড় গৃহস্থালির কাজ করার জন্য ভ্যাকিউম ক্লিনার রোবট ব্যবহৃত হয়। কলকারখানায় ভারী জিনিসপত্র তোলা থেকে শুরু করে জটিল চিকিৎসার জন্য অস্ত্রোপচার, বিপদজনক পরিবেশ থেকে মানুষকে উদ্ধার করার জন্য রোবট ব্যবহৃত হয়।
৪) ব্লকচেন
ক্রিপটোকারেন্সির জন্য ডাটা সুরক্ষা, চুক্তি বাস্তবায়ন এবং ভোট গ্রহণের কাজে ব্লকচেন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ক্রিপটোকারেন্সি সম্পূর্ণভাবে ব্লকচেন এর উপর ভিত্তি করে থাকে।
এছাড়া ব্যাংকিং লেনদেন কে দ্রুততম করার কাজে, জমির রেকর্ড রাখার কাজে, স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার কাজেও ব্লকচেন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ব্লক চেন এর বিভিন্ন সুবিধা গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো এটি মধ্যস্থকারীদের মধ্যস্থতা দূর করে, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে।
৫) ন্যানো টেকনোলজি
ন্যানোটেকনোলজি সেক্টরে পরমাণু ও অনুর মত ক্ষুদ্র কণিকা নিয়ে কাজ করা হয়ে থাকে। সহজ কথায় বলতে গেলে এক ন্যানোমিটার হল: ১ মিটারের এক বিলিয়ন ভাগ। দ্রুতগতির কম্পিউটার তৈরি করতে ন্যানো টেকনোলজি ব্যবহৃত হয়।
এছাড়া নানা ধরনের জটিল ক্যান্সার সনাক্ত করতে ন্যানো রোবট ব্যবহৃত হয়। ন্যানো টেকনোলজি পণ্যের গুণগত মান বাড়ানোর পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ কমাতে সাহায্য করে। এমনকি বায়ু দূষণ, পানি শোধন এর কাজেও বর্তমানে ন্যানো টেকনোলজি ব্যবহৃত হচ্ছে।
ন্যানো টেকনোলজি সম্পর্কে একটি আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি যদি ন্যানো টেকনোলজি সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।
আরো পড়ুনঃ ন্যানো টেকনোলজি কি
৬) জৈব প্রযুক্তি
বিজ্ঞানের এই শাখায় জীবজন্তু ও উদ্ভিদের জৈবিক প্রক্রিয়া ব্যবহার করে নতুন পণ্য তৈরি করা হয়। উচ্চ ফলনশীল ফসল উৎপাদন, পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ, ঔষধ আবিষ্কার, জ্বালানি উৎপাদন, শিল্পজাত পণ্য উৎপাদন, জিনগত রোগ নিরাময় করতে জৈব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। জৈব প্রযুক্তি খাদ্য উৎপাদন, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং চিকিৎসা বিভাগের উন্নতি সাধনের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
৭) মেশিন লার্নিং
মেশিন লার্নিং এমন একটি সেক্টর যেখানে মডেল গুলো ডাটা থেকে প্যাটার্ন শেখে এবং সেই জ্ঞান ব্যবহার করে নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। বিভিন্ন ভাষার অনুবাদ, স্বাস্থ্য সেবা, অর্থনীতি, নেটফ্লিক্সের বিভিন্ন মুভির সুপারিশ, ইউটিউবের ভিডিওর সুপারিশ করতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাছাড়া বিভিন্ন মেশিনের তথ্য যেমন: স্পাম ফিল্টারিং, ডেটা বিশ্লেষণ এর কাজে ও মেশিন লার্নিং ব্যবহার করা হয়।
৮) ড্রোন
এটি এমন একটি প্রযুক্তি যা দূরবর্তী যে কোন স্থান থেকে পরিচালনা করা যায় এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবেই উপরে উঠানো যায়। অনেক উচ্চতা থেকেও পরিষ্কারভাবে ছবি বা ভিডিওগ্রাফি ধারণ করা যায় বলে ড্রোন ইতোমধ্যে খুব জনপ্রিয়।
প্রধানত ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফির কাজে ড্রোন ব্যবহার করা হলেও এর আরো নানাবিধ ব্যবহার রয়েছে। সামরিক বিভিন্ন কাজে তৎপর থাকার জন্য ড্রোন ব্যবহার করা হয়। এখন উন্নত দেশগুলোতে পণ্য ডেলিভারি করার জন্য ড্রোন ব্যবহার করা হয়। হারিয়ে যাওয়া পশু বা মানুষকে খুঁজে বের করতেও বর্তমানে ড্রোন ব্যবহৃত হচ্ছে। কৃষিকাজ ও ফসলের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করার জন্য উন্নত দেশের ড্রোন ব্যবহার করা হয়।
৯)ভার্চুয়াল রিয়েলিটি
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এমন একটি মাধ্যম যেটা ব্যবহার করে ব্যবহারকারী তার আসল জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একটি কৃত্রিম পরিবেশে নিজেকে অনুভব করতে পারে। এটি ব্যবহার করার সময় ব্যবহারকারীর হেডসেট এর প্রয়োজন হয়।
আরো পড়ুন
তাছাড়া সেন্সর ব্যবহার করে ব্যবহারকারী গেমিং প্ল্যাটফর্মকে আরো বাস্তবসম্মত এবং মজাদার করে তুলতে পারে। চিকিৎসা সেবা এবং ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভিন্ন সেক্টরে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহৃত হয়। গেমিং সেক্টরে বড়দের পাশাপাশি শিশুরাও এখন ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে।
১০) ক্লাউড কম্পিউটিং
ক্লাউড কম্পিউটিং হলো এমন একটি প্রযুক্তি যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে ডাটা স্টোরেজ, সফটওয়্যার তৈরি করতে সাহায্য করে। যেকোনো সময় যেকোনো জায়গা থেকে ডাটা এক্সেস পাওয়া যায় বলে ক্লাউড কম্পিউটিং জনপ্রিয়। তাছাড়া এটি কম্পিউটারের স্পেস বাঁচানোর পাশাপাশি খরচ কমায়। সহজে আপগ্রেড করা যায় বলে ক্লাউড কম্পিউটিং বর্তমানে বহুল জনপ্রিয়।
১০ টি প্রযুক্তির নাম সম্পর্কিত কিছু প্রশ্নউত্তর
ডিজিটাল প্রযুক্তি বলতে কি বুঝায়?
যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা ডিজিটাল বিভিন্ন ডিভাইস থেকে তথ্য সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ এবং প্রেরণ করতে পারি তাকে ডিজিটাল প্রযুক্তি বলা হয়।
ডিজিটাল প্রযুক্তির জনক কে?
ডিজিটাল প্রযুক্তির জনক হল ক্লড শ্যানন। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯১৬ সালের ৩০শে এপ্রিল এবং মৃত্যুবরণ করেন ২০০১ সালে ২৪ শে ফেব্রুয়ারি।
প্রযুক্তি কয়টি?
বর্তমানে ৬ ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। সেগুলো হলো: যোগাযোগ প্রযুক্তি, শিল্প ও উৎপাদন প্রযুক্তি, ইলেকট্রনিক্স প্রযুক্তি, চিকিৎসা প্রযুক্তি, যান্ত্রিক প্রযুক্তি ও যোগাযোগ প্রযুক্তি।
১০ টি প্রযুক্তির সম্পর্কে আমাদের মতামত
আমরা আমাদের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আধুনিক ১০ টি প্রযুক্তির নাম এবং এই প্রযুক্তিগুলো যে সব খাতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। নিত্য নতুন আরো বিভিন্ন প্রযুক্তি বাজারে আসছে যেগুলো সম্পর্কে আমাদের দেশের মানুষ এখনো সচেতন নয়।
এরকম নিত্যনতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে আরো তথ্যবহুল আর্টিকেল পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। এবং প্রযুক্তির সম্পর্কে যদি আপনাদের কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানান। সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।