দৈনন্দিন কাজে প্রায় প্রতিটি সেক্টরে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে এই প্রযুক্তির পেছনে বিভিন্ন ধরনের শক্তি কাজ করে। প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত হয় এমন শক্তির মূল উৎস গুলো হল: রাসায়নিক শক্তি, তাপ শক্তি, যান্ত্রিক শক্তি, বিদ্যুৎ শক্তি ইত্যাদি। এবং বিভিন্ন প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত হয় এমন শক্তির উদাহরণ হল: ফ্রিজ, মোবাইল ফোন, কম্পিউটার ইত্যাদি। প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত শক্তির বিভিন্ন রকমের সুবিধা থাকলেও এর কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
প্রযুক্তিতে শক্তি ব্যবহারের ফলে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, শক্তির সীমাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে, শক্তির মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই প্রযুক্তি ব্যবহারে শক্তি কাজ করে তার নির্দিষ্ট মাত্র তৈরি করতে হবে যা কোনোভাবেই মানুষের ক্ষতি করতে না পারে। আজকের আর্টিকেলে আমরা প্রযুক্তি ব্যবহারে কি ধরনের শক্তি ব্যবহৃত হয় তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করব।
পোস্টের বিষয়বস্তু
প্রযুক্তিতে বিভিন্ন ধরনের শক্তির ব্যবহার
প্রযুক্তিতে সাধারণত দুই ধরনের শক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
- প্রাকৃতিক শক্তি,
- অপ্রাকৃতিক শক্তি।
আবার প্রাকৃতিক এবং অপ্রাকৃতিক শক্তিগুলোকে অনেকে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি এবং অ-পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি বলে থাকেন। সাধারণত যে শক্তিগুলো প্রকৃতি থেকে অনবরত পাওয়া যায় অর্থাৎ ব্যবহারের পর কোন ভাবেই সে শক্তি শেষ হয়ে যায় না তাকেই পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি বলা হয়ে থাকে। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির কয়েকটি উদাহরণ হল: জলবিদ্যুৎ, জৈব জ্বালানি, বায়ু শক্তি এবং সৌর শক্তি। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ধীরে ধীরে পরিবেশ দূষণ কমাতে সাহায্য করে।
আবার কিছু কিছু শক্তি রয়েছে যেগুলো ব্যবহারের সাথে সাথেই শেষ হয়ে যায় অর্থাৎ কোনোভাবে আর প্রকৃতিতে ফিরে আসে না, এসব শক্তিগুলোকে অ-পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি বলা হয়। অ-পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির কয়েকটি উদাহরণ হল: পেট্রোল, ডিজেল, কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি। অ-পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ধীরে ধীরে পরিবেশ দূষণ বৃদ্ধি করে। তবে শক্তির অপচয় রোধ করতে পারলে এবং শক্তি নির্দিষ্ট মাত্রায় খরচ করতে পারলে শক্তি সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়। তবে ক্রমবর্ধমান এ জনগণের চাহিদা মেটানোর জন্য ধীরে ধীরে অ-পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রযুক্তি ব্যবহারে প্রাকৃতিক শক্তির ভূমিকা
প্রযুক্তি ব্যবহারে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় প্রাকৃতিক শক্তি। সূর্যের আলো, বাতাস এবং ভূগর্ভস্থ তাপ ব্যবহার করে আমরা বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকি। নিজে প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রাকৃতিক শক্তির কয়েকটি উদাহরণ তুলে ধরা হলো:
সৌরশক্তি
বর্তমানে অনেক অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় সৌরশক্তি ব্যবহার করে। সূর্যের আলোকে সৌর প্যানেলের মাধ্যমে সরাসরি বিদ্যুতে রূপান্তর করা সম্ভব। সৌর প্যানেল ব্যবহার করে যে সৌরশক্তি উৎপন্ন হয় তা দিয়ে সরাসরি বাসা বাড়িতে এবং অফিস আদালতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব। বিদ্যুৎ উৎপাদন করা ছাড়াও রান্না করা, পানি গরম করার কাজে সৌরশক্তি ব্যবহৃত হয়। সৌর শক্তির সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি সম্পূর্ণভাবে পরিবেশবান্ধব এবং কখনো ফুরাবে না। এবং সৌরশক্তি ব্যবহারের ফলে ধীরে ধীরে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমতে থাকে।
বায়ু শক্তি
বায়ুর গতিবেগ কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন, বায়ু পাম্প পরিচালনা এবং জাহাজ চালানোর জন্য পাল তৈরি করা সম্ভব। এক্ষেত্রে সাধারণত বায়ুর গতি শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত করা হয় এবং একই পদ্ধতিতে যান্ত্রিক শক্তিকে আবার বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করা সম্ভব। বায়ু শক্তি সাধারনত নবায়নযোগ্য এবং পরিবেশবান্ধব। এছাড়াও দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় মানুষ প্রযুক্তি ব্যবহারে বায়ু শক্তি এখন প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করছে।
জলবিদ্যুৎ
পানির স্রোত কে ব্যবহার করে যে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয় তাকে জলবিদ্যুৎ বলা হয়ে থাকে। এটি একটি নবায়নযোগ্য শক্তি এবং পুরোপুরি পরিবেশবান্ধব। একটি জলাধার নির্মাণ করার পর সেই পানিকে নিয়ন্ত্রিতভাবে নদীর নিচের দিকে অবস্থিত টারবাইনের দিকে প্রবাহিত করা হলে পানির প্রবাহের গতির কারণে টারবাইনের ব্লেড ঘুরতে থাকে। এই ঘূর্ণন গতির কারণেই জলবিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। জলবিদ্যুৎ একটি নবায়নযোগ্য শক্তি এবং পুরোপুরি পরিবেশবান্ধব। বর্তমানে বন্যার পানি রোধে এবং খাবার পানি সরবরাহ করার জন্য জলবিদ্যুৎ কাজ করে থাকে।
জৈবশক্তি
বিভিন্ন ধরনের জৈব উপাদান যেমন: গাছপালা, পশু-পাখির জীবিত বা মৃত অবস্থা থেকে আমরা যে শক্তি পেয়ে থাকি তাকে জৈব শক্তি বলা হয়। জৈব জ্বালানি ব্যবহার করে বায়োগ্যাস, ইথানল ইত্যাদি তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া কিছু প্রযুক্তিতে যেসব উপাদানের প্রয়োজন হয় তার অধিকাংশ যোগান দেয় জৈবশক্তি। জিন প্রকৌশল এর মাধ্যমে জৈব শক্তির উৎপাদন বৃদ্ধি করার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
ভূগর্ভস্থ তাপ
পৃথিবীর অভ্যন্তর থেকে যে উত্তপ্ত শক্তি তৈরি হয় তাকে ভূগর্ভস্থ তাপ বলা হয়ে থাকে। ভূগর্ভস্থ তাপ ব্যবহার করে উচ্চ চাপের বাস্পতে টারবাইন চালিয়ে বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চল থেকে সবচেয়ে বেশি ভূগর্ভস্থ তাপ উৎপাদন করা হয়ে থাকে। তবে প্রযুক্তি ব্যবহারে এ শক্তিকে আরো ভালোভাবে প্রয়োগ করার জন্য এই সেক্টরে আরো অনেক বেশি বিনিয়োগের প্রয়োজন রয়েছে।
প্রযুক্তি ব্যবহারে অপ্রাকৃতিক শক্তির ভূমিকা
যন্ত্রপাতি বা বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যে শক্তি উৎপাদন করা হয় তাকে অপ্রাকৃতিক শক্তি বলা হয়। প্রযুক্তি ব্যবহারে প্রাকৃতিক শক্তির ভূমিকা সম্পর্কে আমরা ইতোমধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। চলুন এবার জেনে আসি প্রযুক্তি ব্যবহার অপ্রাকৃতিক শক্তির ভূমিকা গুলো কি কি?
- বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়,
- যানবাহন চলাচলে ব্যবহৃত হয়,
- উৎপাদন প্রক্রিয়ায় অপ্রাকৃতিক শক্তি ব্যবহৃত হয়,
- তথ্য প্রযুক্তিতে অপ্রাকৃতিক শক্তির ব্যবহৃত হয়।
বিদ্যুৎ উৎপাদন
বিদ্যুৎ উৎপাদন করার ক্ষেত্রে অপ্রাকৃতিক শক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কয়লা, তেল এবং গ্যাসের সাথে সূর্যের আলো, বায়ু এবং পানি মিশিয়ে যে শক্ত উৎপন্ন হয় তা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। তবে এর কিছু পরিবেশগত খারাপ প্রভাব রয়েছে। যেহেতু বিদ্যুৎ আমাদের নিত্যদিনের কাজে লাগে সেহেতু বিদ্যুৎ উৎপাদনের পেছনে রয়েছে অপ্রাকৃতিক শক্তির ব্যবহার।
যেমন: অপ্রাকৃতিক শক্তি বলতে কয়লা, তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসকে বোঝানো হয়ে থাকে। কিন্তু এই জীবাশ্ম জ্বালানি গুলো অনেক বছর ধরে মাটির নিচে চাপা থাকে। যখন এটা বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজে ব্যবহার করা হয় তখন তা বায়ু দূষণের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদনের সময় যে পানি ব্যবহার করা হয় সে পানি আবার পরবর্তীতে ঠান্ডা করে পরিবেশে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এতে করে ধীরে ধীরে পানি দূষণ হয়।
যানবাহন চলাচল
বর্তমানে ব্যবহৃত প্রযুক্তি গুলোর মধ্যে যানবাহন অন্যতম। যানবাহন চলাচলের জন্য কিছু শক্তির প্রয়োজন হয়। যেমন: জীবাশ্ম জ্বালানি, বিদ্যুৎ শক্তি এবং নবীন করন যোগ্য শক্তি। জীবাশ্ম জ্বালানোর মধ্য রয়েছে পেট্রোল এবং ডিজেল। পেট্রোল এবং ডিজেল প্রাকৃতিক ভাবে পাওয়া গেলেও এটা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বর্তমানে প্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নত মানের বিদ্যুৎ চালিত যানবাহন তৈরি করা হচ্ছে। এসব যানবাহন গুলো পুরোপুরি চলে বিদ্যুৎ গ্রিড ব্যবহার করে এবং এদের নিজস্ব ব্যাটারি থেকে। এছাড়া কিছু যানবাহন রয়েছে যেগুলো বায়ু শক্তি ব্যবহার করে চালিত হয়। এসব যানবাহন পরিবেশের জন্য ভালো।
উৎপাদন প্রক্রিয়া
প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পদার্থ উৎপাদন করা হচ্ছে। এসব উৎপাদন প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ শক্তি, তাপ শক্তি এবং যান্ত্রিক শক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদন কারখানায় যেসব মেশিন চলছে তা চালানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে বিদ্যুৎ এবং জীবাশ্ম জ্বালানি। কল কারখানায় প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের ধাতু এবং প্লাস্টিক গলানোর প্রয়োজন হয়।
এগুলো গলানোর জন্য যে উচ্চ তাপমাত্রা প্রয়োজন হয় তা সরবরাহ করার জন্য বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হচ্ছে। আবার কোন উৎপাদনের জন্য কাঁচামাল সংগ্রহ, বাজারজাতকরণ ইত্যাদির জন্য যেসব যানবাহনের প্রয়োজন হয় সেসব যানবাহন জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল, যা কোন না কোনভাবে শক্তির রূপ। অফিস, বাসাবাড়ি, শপিং মল ইত্যাদি সাজানোর জন্য যে আলোকসজ্জার প্রয়োজন হয় সেগুলোর পেছনেও রয়েছে বিদ্যুতের ব্যবহার, যা শক্তি ব্যবহার করে আবিষ্কার করা হয়েছে।
তথ্যপ্রযুক্তি
তথ্য প্রযুক্তিতে সাধারণত বিদ্যুৎ শক্তি, তাপ শক্তি, মেকানিক্যাল শক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তথ্য প্রযুক্তি উন্নয়নে বিদ্যুৎ শক্তি ব্যবহার করে কাজ করে প্রসেসর। প্রসেসর ব্যবহার করে যেসব কাজ সম্পন্ন করা হয় তার পেছনে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ শক্তি ব্যয় হয়। আবার হার্ডডিস্ক, এসএসডি দীর্ঘমেয়াদী ডাটা সংরক্ষণ করে রাখে। যখন এখানে ডাটা সেভ করা হয় এবং পরবর্তীতে সে ডাটা বের করে রি চেক করা হয় তখন প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ শক্তি ব্যবহার করা হয়। তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে তাপ শক্তি ব্যবহার করে কম্পিউটারের অভ্যন্তরীণ উপাদান গুলো তাপ উৎপাদন করে এবং কুলিং সিস্টেমের মাধ্যমে তা নিষ্কাশন করতে সাহায্য করে।
প্রযুক্তি ব্যবহারে বিভিন্ন শক্তির সুবিধা ও অসুবিধা
আমাদের জীবনকে উন্নত করার জন্য যেসব প্রযুক্তি নতুন নতুন উদ্ভাবিত হচ্ছে সবকিছুর পেছনে কোন না কোন শক্তি কাজ করছে। প্রযুক্তি ব্যবহারে এসব শক্তির সুবিধা এবং অসুবিধা দুটোই রয়েছে। প্রযুক্তি ব্যবহারে বিভিন্ন শক্তির সুবিধা গুলো হল:
- বিভিন্ন শক্তি ব্যবহার করে নতুন নতুন অনেক কিছু উদ্ভাবন করা সম্ভব,
- উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য যে প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয় তার পেছনে রয়েছে এসব শক্তি,
- চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিভিন্ন শক্তি ব্যবহার করে জটিল রোগ নির্ণয় এবং তার চিকিৎসা পদ্ধতি বের করা সম্ভব,
- প্রযুক্তি যোগাযোগের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করে, যোগাযোগের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করার জন্য পেছনে কাজ করে বিভিন্ন ধরনের শক্তি।
প্রযুক্তি ব্যবহারে বিভিন্ন শক্তির অসুবিধা গুলো হলো:
- শক্তি ব্যবহারের ফলে প্রতিনিয়ত পরিবেশ দূষিত হচ্ছে,
- শক্তি উৎপাদনের ফলে বিকিরণ এবং বিষাক্ত পদার্থ পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ায় তা মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে,
- শক্তির অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে মানসিক অবসাদ, সামাজিক বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হচ্ছে,
- প্রযুক্তির প্রতি মানুষের নির্ভরশীলতা ক্রমশ সবকিছুকে ছাপিয়ে যাচ্ছে।
আরো পড়ুন
প্রযুক্তি ব্যবহারে শক্তি সম্পর্কে আমাদের মতামত
প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে শক্তি কোনো না কোনোভাবে কাজ করে। শক্তি ছাড়া কোনভাবেই প্রযুক্তির ব্যবহার করা সম্ভব নয়। আজকে আর্টিকেলে আমরা প্রযুক্তি ব্যবহারে কি ধরনের শক্তি ব্যবহৃত হয় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। প্রযুক্তি ব্যবহারে শক্তি সম্পর্কে যদি আপনাদের আর কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন এবং এরকম তথ্য পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।